কলকাতা, ২৬ নভেম্বর : মুঠো মুঠো ওষুধ নয়, সকল রোগের অব্যর্থ দাওয়াই সূর্য প্রণাম। যদি জটিল রোগ থেকে শত হস্তে দূরে থাকতে চান তাহলে প্রতিদিনের রুটিনে যোগ করুন সূর্য প্রণাম। এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে, যা মানুষের মন এবং শরীরকে শান্ত রাখে। সূর্য নমস্কার বা প্রণাম নিয়ে ভারতীয় যোগ শাস্ত্রে বিস্তারিত অনেক কিছুই বলা হয়েছে। সকালে উঠে সূর্যের কিরণের সামনে প্রণাম করলে সকল রোগ জীবাণু থেকে শরীর শুদ্ধ হয়। সূর্য প্রণামের একদিকে যেমন থাকে আসন, অপরদিকে থাকে ব্যায়াম। দুটির সমন্বয়ে কারণে উপকারের তালিকা বেশ লম্বা।
সূর্য প্রণামের ধাপ
প্রথমে একটি জায়গায় দুটি পা জড়ো করে নমস্কারের ভঙ্গিতে সোজাভাবে দাঁড়ান। প্রতিটি ধাপে অন্তত এক থেকে দশ কাউন্ট করতে পারেন। দ্বিতীয় ধাপে হাত দুটি উপরে তুলে পিছন দিকে বাঁকাতে হবে। যাকে বলা হয় অর্থচন্দ্রাসন। এরপর হাত সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে পা স্পর্শ করুন। ওই অবস্থাতেই হাঁটু ভেঙে বসে পড়ুন। তারপর ডান পা পিছন দিকে সোজা করে রাখুন। ঠিক হাঁটুর সমানে মাথা তুলে সামনের দিকে তাকান। পেছনদিকে সোজা করে দিন বাম পা। এরপর ডনের ভঙ্গিতে হাতের উপর জোর দিয়ে আস্তে আস্তে নামবেন। তারপর আবার ধীরে ধীরে উঠবেন। ঠিক আগের মত বাঁ পা ভাঁজ করে সামনের দিকে নিয়ে, মাথা নামাবেন। তারপর ডান পাও সামনের দিকে ভাঁজ করে নিয়ে আসবেন। এরপর এমন ভাবে বসবেন যাতে নিতম্ব গোড়ালির সঙ্গে স্পর্শ করে। পদহস্তাসন করে হাত তুলে অর্ধচন্দ্রাসনের ভঙ্গিতে পিছনে তাকাবেন, আবার পুনরায় জোড় হাত করে নমস্কার ভঙ্গিতে ফিরে আসবেন। এইভাবে দিনে অন্তত ৬ থেকে ১০ বার অভ্যাস করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
সূর্য প্রণামের উপকার
•পেটের পেশির উন্নতি ঘটে, শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়।
•হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শিরদাঁড়া ভালো থাকে।
•শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় এবং পাশাপাশি শারীরিক গঠন সুন্দর হয়।
•সূর্য নমস্কারের ফলে প্রচুর ক্যালরি বার্ন হয়। যাদের ওজন একটু বেশি তারা সূর্য নমস্কার করতে পারেন।
•সর্বোপরি সূর্য প্রণাম আমাদের মন এবং মস্তিষ্ককে শান্ত রাখে। যার কারণে অবসাদ ব্যস্ত জীবনকে ছুঁতেও পারে না। একটা কথা মনে রাখবেন, আপনাকে কিন্তু সূর্য প্রণাম রোজ করতে হবে, তবেই হাতেনাতে ফল পাবেন। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের জীবনে ক্রমাগত অনুশীলনের সাথে আদর্শ ভাবে সূর্য নমস্কার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র : ।। প্রথম কলকাতা ।।